ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশিকা:
জার্মানী/চেক প্রজাতন্ত্র/কসোভোতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক, যার কাছে বৈধ বাংলাদেশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) আছে তিনি নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য এবং যার কাছে ই-পাসপোর্ট আছে তিনি ই-পাসপোর্ট রি-ইস্যুর জন্য বার্লিনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন করতে পারেন। ই-পাসপোর্ট আবেদনের (৬ বছরের ঊর্ধে সকল আবেদনকারীর) বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির (অর্থাৎ হাতের আঙুলের ছাপ প্রদান, ছবি তোলা ইত্যাদি) জন্য আবেদনকারীকে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে অবশ্যই দূতাবাসে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। এপয়েন্টমেন্টের সময় প্রয়োজনীয় ও যথাযথ সকল কাগজপত্র সাথে না থাকলে কোনোভাবেই আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না ****০৬ বছরের নিচে শিশুদের নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য এখানে ক্লিক করুন****
ই-পাসপোর্ট করার সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
১। অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের কপি (বার কোড সহ)। আবেদনপত্র পূরণ করতে অনুগ্রহ করে ভিজিট করুন: www.epassport.gov.bd। আবেদনে বর্তমান ঠিকানার স্থানে অবশ্যই জার্মানি/চেক প্রজাতন্ত্র/কসোভোর ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানার স্থানে বাংলাদেশে আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা এবং ইমার্জেন্সি কনটাক্টে বাংলাদেশের কোনো ঠিকানা (ফোন নম্বরসহ) উল্লেখ করতে হবে। পূর্বের পাসপোর্টে NID নম্বর দিয়ে থাকলে আবশ্যিকভাবে NID নম্বর দিয়েই আবেদন করতে হবে।
২। বায়োমেট্রিক ডেটা (আঙুলের ছাপ প্রদান, ছবি তোলা ইত্যাদি) প্রদানের জন্য আপনার Online Appointment (অনালাইন এপয়েন্টমেন্ট) নিশ্চিতকরণের প্রিন্টকপি। এপয়েন্টমেন্ট বুকিং-এর জন্য এখানে ক্লিক করুন
৩। আবেদনকারীর বৈধ বাংলাদেশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP)/ ই-পাসপোর্ট (মূলকপি) এবং পাসপোর্টের তথ্য পৃষ্ঠার ফটোকপি। পাসপোর্ট হারানো গেলে জিডি/পুলিশ রিপোর্টের মূলকপি ও হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি। এক্ষেত্রে জিডি/পুলিশ রিপোর্টে অবশ্যই হারানো পাসপোর্টের নম্বর ও আবেদনকারীর নাম উল্লেখ থাকতে হবে।
৪। আবেদনকারীর সর্বশেষ পাসপোর্টের ব্যক্তিগত নম্বরের স্থানে উল্লিখিত নম্বরের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)/১৭ ডিজিট সম্বলিত ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদের কপি। পূর্বের পাসপোর্টে NID নম্বর দিয়ে থাকলে আবশ্যিকভাবে NID নম্বর দিয়েই আবেদন করতে হবে। সংযুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র/ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদের সাথে আবেদনের তথ্যের পরিবর্তন/বানানে (spelling) গড়মিল থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। বর্তমান পাসপোর্টের তথ্যের সাথে আবেদনকৃত ই-পাসপোর্টের চাহিত তথ্যের— যেমন; নাম, বয়স, স্থায়ী ঠিকানায় পরিবর্তন/বানানে (spelling) গড়মিল থাকলে তার স্বপক্ষে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হবে। পিতা/মাতার নামে পরিবর্তন/বানানে গড়মিল থাকলে তার স্বপক্ষে অবশ্যই নিজের এবং পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হবে। তথ্যের পরিবর্তন/গড়মিলের ক্ষেত্রে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫। জার্মানি/চেক প্রজাতন্ত্র/কসোভো সরকার কর্তৃক প্রদত্ত হালনাগাদ/বৈধ রেসিডেন্স পারমিটের মূলকপি ও ফটোকপি।
৬। শিক্ষার্থী হিসেবে (শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের) আবেদন করলে, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ছবি সম্বলিত বৈধ স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ও ফটোকপি /স্টুডেন্ট এনরোলমেন্টের মূল সার্টিফিকেট ও ফটোকপি দিতে হবে।
৭। প্রযোজ্য অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র (যেমন, বিবাহের সনদ, বিবাহ বিচ্ছেদের সনদ, নোটারি পাবলিক)।
৮। ব্যাংকিং চ্যানেলে/ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট আবেদনের নির্ধারিত ফি (প্রাপ্তবয়স্ক অথবা অপ্রাপ্তবয়স্ক সাধারণ আবেদনকারীর জন্য ১২৫ ইউরো, শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আবেদনকারীর জন্য ৫৫ ইউরো) পরিশোধের ব্যাংক স্টেটমেন্টের প্রিন্ট কপি। প্রিন্ট কপিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, ফি পরিশোধকারীর বিবরণ, অনলাইন আবেদনের OID নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ফি বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের ব্যাংক একাউন্টে শুধুমাত্র ব্যাংকিং চ্যানেলে/ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। নগদ অর্থ/সরাসরি জমা/ব্যক্তিগত চেক গ্রহনযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত ফি প্রদানের পর যেকোনো কারণে আবেদন গ্রহণযোগ্য না হলে অথবা আবেদন গ্রহণের পর যেকোনো পর্যায়ে আবেদন বাতিল হলে ফি ফেরতযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের ব্যাংক একাউন্টের বিবরণ:
Name of the Account: Embassy of Bangladesh
Bank Name: Deutsche Bank
Account No. : 233 27 73
IBAN: DE 80 1007 0000 0233 2773 00
BIC (swift-code): DEUTDEBBXXX
ই-পাসপোর্টের ফিঃ
আবেদনের ধরণ
|
পৃষ্ঠা
|
মেয়াদ (বছর)
|
নির্ধারিত ফি (ইউরো)
|
সাধারণ
|
৪৮
|
০৫/১০
|
১২৫
|
শিক্ষার্থী (শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়)
|
৪৮
|
১০
|
৫৫
|
অপ্রাপ্তবয়স্ক (০-১৮ বছর)
|
৪৮
|
০৫
|
১২৫
|
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ আছে (সুত্রঃ ডিআইপি ওয়েবসাইট )
ই-পাসপোর্টে স্বামী বা স্ত্রীর নাম অপসারণসহ তিনটি সংশোধন এনেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। এ বিষয়ক অফিস আদেশটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
১। ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশে (ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক) প্রিন্ট করা হয় এবং ঢাকা থেকে বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছায়। এজন্য ই-পাসপোর্ট আবেদনের বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তি এবং তথ্য যাচাইকরণ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার তারিখ হতে পরবর্তী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সাধারণত ই-পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
২। বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে আবেদনকারীকে কোনো 'জরুরি' বা 'এক্সপ্রেস' পরিষেবা দেওয়া হয় না।
৩। বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে ই-পাসপোর্টের জন্য হাতে লেখা কোনো আবেদন গ্রহণ করা হয় না।