৬ বছরের কম বয়সী শিশুর ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের নিয়ম:
জার্মানি/চেক প্রজাতন্ত্র/কসোভোতে বসবাসকারী বাংলাদেশি পিতা/মাতার ৬ বছরের কম বয়সী সন্তানের ই-পাসপোর্টের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে আবেদন করা যাবে। নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র (ডকুমেন্টস) সহ যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন এনরোলমেন্ট (তালিকাভুক্তি) সম্পন্ন করতে হবে:
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (ডকুমেন্টস):
১। অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের প্রিন্টেড কপি (বারকোড সহ)। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের লিংক: www.epassport.gov.bd
২। শিশুর সম্প্রতি তোলা থ্রি-আর (3R size) সাইজের দুই কপি ছবি (স্টুডিও/ফটোল্যাবে প্রিন্ট)। শিশুর মুখ ও শরীর সোজা অবস্থায় স্পষ্ট করে ছবি তুলতে হবে। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড গ্রে (ধুসর) থাকতে হবে। ছবির উপরে এবং দুই পাশে কমপক্ষে ২ সেন্টিমিটার ফাঁকা রাখতে হবে। এধরনের ৩টি নমুনা ছবি এখানে দেওয়া হলো: নমুনা ছবি-১, নমুনা ছবি-২, নমুনা ছবি-৩। ছবির পিছনে শিশুর নাম, পিতা/মাতার নাম উল্লেখ করতে হবে।
৩। শিশুর বাংলাদেশি পাসপোর্টের তথ্য পৃষ্ঠার ফটোকপি এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বরযুক্ত জার্মানি/চেক প্রজাতন্ত্র/কসোভো সরকার কর্তৃক প্রদত্ত হালনাগাদ/বৈধ রেসিডেন্স পারমিটের মূলকপি ও ফটোকপি। শিশুর পাসপোর্ট না থাকলে শিশুর পিতা/মাতার বাংলদেশি পাসপোর্টের তথ্য পৃষ্ঠার ফটোকপি এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বরযুক্ত জার্মানি/চেক প্রজাতন্ত্র/কসোভো সরকার কর্তৃক প্রদত্ত হালনাগাদ/বৈধ রেসিডেন্স পারমিটের মূলকপি ও ফটোকপি।
৪। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত শিশুর ১৭ ডিজিট সম্বলিত ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদের অনলাইন ভেরিফিকেশনের কপি।
৫। ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফি (১২৫ ইউরো) বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা প্রদানের স্লিপ/রসিদের কপি। ফি প্রদানের সময় রেফারেন্সে নাম এবং OID নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। নির্ধারিত ফি অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেল/ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। নগদ/ব্যক্তিগত চেক/সরাসরি ফি গ্রহণযোগ্য হবে না। বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের ব্যাংক একাউন্টের বিবরণ নিম্নরূপ:
Name of the Account: Embassy of Bangladesh
Bank Name: Deutsche Bank
Account No. : 233 27 73
IBAN: DE 80 1007 0000 0233 2773 00
BIC (swift-code): DEUTDEBBXXX
আবেদনের এনরোলমেন্ট (তালিকাভুক্তি) সম্পন্নের নিয়ম:
১। শিশুর পিতা/মাতাকে উপরে বর্ণিত কাগজপত্রসহ বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে উপস্থিত হয়ে শিশুর ই-পাসপোর্ট আবেদনের এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। এনরোলমেন্টের সময় শিশুর আইরিস বা আঙুলের ছাপ গ্রহণের প্রয়োজন হয় না- এজন্য শিশুকে উপস্থিত থাকা জরুরি নয়।
২। আবেদনের এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করতে অনলাইনে এপয়েন্টমেন্ট বুকিং করে বুকিংয়ের কপি নিয়ে আসতে হবে। [এপয়েন্টমেন্ট বুকিং-এর লিংক]
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
১। আবেদনের এনরোলমেন্ট (তালিকাভুক্তি) সম্পন্নকরণ, তথ্য যাচাইকরণ, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে বার্লিনে পৌঁছার পর ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। এজন্য সাধারণত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় (শর্তসাপেক্ষ) প্রয়োজন হয়।
২। বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে আবেদনকারীকে কোনো 'জরুরি' (আর্জেন্ট) বা 'এক্সপ্রেস' পরিষেবা দেওয়া হয় না।
৩। বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে ই-পাসপোর্টের জন্য হাতে লেখা কোনো আবেদন গৃহীত হয় না।